সরকার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরুতেই সব ধরনের সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার কমিয়ে দিয়েছে। ১ জুলাই থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। ফলে যারা সঞ্চয়পত্রকে একটি নিরাপদ বিনিয়োগ ও মাসিক আয়ের উৎস হিসেবে বিবেচনা করেন— বিশেষ করে অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ, গৃহবধূ, প্রবাসী পরিবারের সদস্য ও মধ্যবিত্ত শ্রেণি— তারা অর্থনৈতিক চাপের মুখে পড়েছেন।
কেন কমানো হলো মুনাফার হার?
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, পাঁচ ও দুই বছর মেয়াদি সরকারি ট্রেজারি বন্ডের গড় সুদের হার বিবেচনায় নিয়েই সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার নির্ধারণ করা হয়। প্রতি ছয় মাস পরপর এটি পর্যালোচনা করা হয়। সর্বশেষ পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ট্রেজারি বন্ডের হার কিছুটা কমে গেছে। সেই অনুযায়ী জাতীয় সঞ্চয় স্কিমেও মুনাফার হার কমানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি বছরের ১ জুলাইয়ের আগে যেসব সঞ্চয়পত্র ইস্যু হয়েছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে আগের মুনাফার হার বহাল থাকবে। তবে মেয়াদ শেষে পুনঃবিনিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন মুনাফার হার প্রযোজ্য হবে।
কতটা কমলো মুনাফা?
সঞ্চয়পত্রের প্রায় প্রতিটি স্কিমেই এবার মুনাফার হার কমেছে। যেমন- পরিবার সঞ্চয়পত্রে যেখানে আগে সাড়ে সাত লাখ টাকার কম বিনিয়োগে মুনাফা মিলত ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ, এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ। সাড়ে সাত লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে হার কমে হয়েছে ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ, যা আগে ছিল ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
একই ধরনের পরিবর্তন এসেছে পেনশনার সঞ্চয়পত্রেও। আগে যেখানে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা পাওয়া যেত, এখন তা নেমে এসেছে সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশে। বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র এবং তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রেও মুনাফার হার গড়ে ০.৫০ থেকে ০.৬০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের মেয়াদি হিসাবেও একই প্রবণতা দেখা গেছে।
কে কতটা চাপে পড়বে?
অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারের সুদ কমানোর সিদ্ধান্ত হয়তো আর্থিক দিক থেকে যৌক্তিক, কিন্তু এর সামাজিক প্রভাব গভীর। দেশে এমন এক